ব্যোমকেশ সমগ্র (ব্যোমকেশ বক্সী সিরিজ)

ব্যোমকেশ বক্সী হলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র, যিনি সৃষ্টিকারী শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেকে “সত্য-সন্ধানী” বা সত্যান্বেষী হিসাবে পরিচয় দেন, যার অর্থ সত্যের খোঁজকারী। ব্যোমকেশের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তার গভীর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, যৌক্তিক চিন্তাভাবনা এবং ফরেনসিক বিজ্ঞানের দক্ষতা। সাধারণত কলকাতায় ঘটে যাওয়া জটিল হত্যাকাণ্ডের রহস্য তার বুদ্ধি ও দক্ষতায় সমাধান হয়।

 

ব্যোমকেশ বক্সীর খ্যাতি বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যে অপরিসীম। তিনি কখনো নিজেকে “গোয়েন্দা” বলতেন না বরং “সত্যান্বেষী” বলে নিজেকে সংজ্ঞায়িত করতেন। গল্পগুলোর উপস্থাপক ও সহকারী হিসেবে আছেন অজিত, যিনি ব্যোমকেশের অভিযানের সঙ্গী।

 

ব্যোমকেশ বক্সী বাংলা সাহিত্যের মধ্যবিত্ত বাঙালির বুদ্ধিমান ও প্রগতিশীল ব্যক্তিত্বের মূর্ত প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়। তিনি ছদ্মবেশ ধারণ করতেও পারদর্শী এবং অপরাধীদের মাঝে মাঝে ব্যক্তিগতভাবে বিচার দেন, যদিও শাস্তি দিয়ে শিক্ষা দেওয়াই তার লক্ষ্য।

 

এই চরিত্র নিয়ে বহু চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিক নির্মিত হয়েছে, যা বাঙালি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়।

 

সারসংক্ষেপে, ব্যোমকেশ বক্সী হলেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্ট একটি বুদ্ধিদীপ্ত, বাস্তবসম্মত ও সত্যান্বেষী গোয়েন্দা চরিত্র, যিনি বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী গোয়েন্দাদের একজন।

আদিম রিপু (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

এক দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় হইতে বাংলা দেশে, বিশেষত কলিকাতা শহরে, মানুষের জীবনের মূল্য খুবই কমিয়া গিয়াছে। পঞ্চাশের মন্বন্তরে আমরা জীবনমৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করিয়া ফেলিয়াছিলাম। তারপর জিন্না সাহেবের সম্মুখ সমর যখন আরম্ভ হইল, তখন আমরা মৃত্যুদেবতাকে একেবারে ভালবাসিয়া ফেলিলাম। জাতি হিসাবে…

Read Moreআদিম রিপু (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

বহ্নি-পতঙ্গ (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

এক ‘পাটনায় পৌঁছিয়া দশ-বারো দিন বেশ নিরুপদ্রবে কাটিল। তারপর একদিন পুরন্দর পাণ্ডের সহিত দেখা হইয়া গেল। পাণ্ডেজি বছরখানেক হইল বদলি হইয়া পাটনায় আসিয়াছেন। সেই যে দুর্গরহস্য সম্পর্কে তাঁহার সংস্পর্শে আসিয়াছিলাম, তারপর আর দেখা হয় নাই। পাণ্ডেজি খুশি হইলেন, আমরাও কম…

Read Moreবহ্নি-পতঙ্গ (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

অদ্বিতীয় (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

এক প্রকৃতির অলঙ্ঘনীয় বিধানে ব্যোমকেশের সহিত যখন সত্যবতীর দাম্পত্য কলহ বাধিয়া যাইত, তখন আমি নিরপেক্ষভাবে বসিয়া তাহা উপভোগ করিতাম। কিন্তু দাম্পত্য কলহে যখন স্ত্রীজাতি এবং পুরুষজাতির আপেক্ষিক উৎকর্ষের প্রসঙ্গ আসিয়া পড়িত তখন বাধ্য হইয়া আমাকে ব্যোমকেশের পক্ষ অবলম্বন করিতে হইত।…

Read Moreঅদ্বিতীয় (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

হেঁয়ালির ছন্দ (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

এক ব্যোমকেশ সরকারী কাজে কটকে গিয়াছিল, আমিও সঙ্গে ছিলাম। দু’চার দিন সেখানে কাটাইবার পর দেখা গেল, এ দু’চার দিনের কাজ নয়, সরকারী দপ্তরের পর্বতপ্রমাণ দলিল দস্তাবেজ ঘাঁটিয়া সত্য উদ্‌ঘাটন করিতে সময় লাগিবে। তখন ব্যোমকেশ কটকে থাকিয়া গেল, আমি কলিকাতায় ফিরিয়া…

Read Moreহেঁয়ালির ছন্দ (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

বেণীসংহার (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

এক সকালবেলা ব্যোমকেশ তার কেয়াতলার বাড়িতে চায়ের পেয়ালা এবং খবরের কাগজ নিয়ে বসেছিল। শীতের সকাল, বেলা আন্দাজ আটটা। অজিত ইতিমধ্যেই তাড়াতাড়ি চা খেয়ে বেরিয়ে গেছে, একজন প্রখ্যাত লেখকের বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে হবে। লেখক মহাশয় একটি নতুন বই দেবেন প্রতিশ্রুত…

Read Moreবেণীসংহার (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

অমৃতের মৃত্যু (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

এক গ্রামের নাম বাঘমারি। রেল-লাইনের ধারেই গ্রাম, কিন্তু গ্রাম হইতে স্টেশনে যাইতে হইলে মাইলখানেক হাঁটিতে হয়। মাঝখানে ঘন জঙ্গল। গ্রামের লোক স্টেশন যাইবার সময় বড় একটা জঙ্গলের ভিতর দিয়া যায় না, রেল-লাইনের তারের বেড়া টপ্‌কাইয়া লাইনের ধার দিয়া যায়।  …

Read Moreঅমৃতের মৃত্যু (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়